সাড়ে ১১ হাজার টাকা বেঞ্চের দাম, তাও নিম্নমানের

সাড়ে ১১ হাজার টাকা বেঞ্চের দাম, তাও নিম্নমানের

এ.এফ.এম রিয়াজ, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:  দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট সারাদেশের পৃথক ৪টি স্থানে অভিযান চালিয়ে শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ে দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) পটুয়াখালী ও ফরিদপুরে এসব অভিযান পরিচালিত হয়। দুদকের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দুদকে জমা হওয়া অভিযোগের ভিত্তি দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট অভিযানগুলো পরিচালনা করে। অভিযানে পটুয়াখালীর ‘ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রী কলেজ’-এর আইসিটি বিভাগের জন্য অত্যন্ত নিম্নমানের বেঞ্চ সরবরাহ করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের তথ্য প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক মোজাম্মিল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানকালে টিম জানতে পারে, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের ফিডকো ফার্নিচার কমপ্লেক্স থেকে ‘তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারী কলেজসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প’ এর অধীন ৫৪টি হাই-লো বেঞ্চ পাঠানো হয়েছে। যার মূল্য ৬ লাখ ২৪ হাজার ৬১৮ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি বেঞ্চের গড় মূল্য ১১ হাজার ৫৬৭ টাকা। দুদক টিম প্রাথমিক পর্যালোচনায় বলছে- অত্যন্ত নিম্নমানের (বিভিন্ন স্থানে ফাটা, ঘুণে ধরা) বেঞ্চ সরবরাহ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে। 

অভিযানকালে টিম আরো জানতে পারে, প্রকল্পের অধীন দেশের ১১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। এ শিক্ষা উপকরণগুলো ক্রয়ের প্রক্রিয়া যাচাইপূর্বক বিশ্লেষণ করলে প্রাপ্ত অনিয়মের বিস্তারিত তথ্য উদঘাটিত হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে টিম।

এ ছাড়াও ভূমি নামজারি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের অভিযোগে, বিদ্যালয় মেরামতে বরাদ্দকৃত টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে এবং দলিল রেজিস্ট্রি বাবদ ঘুষ গ্রহণ ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে যথাক্রমে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালী এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ফরিদপুর হতে ৩টি পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান হয়েছে।